Search This Blog

Wednesday, November 21, 2018

ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হ্যাক হলে তিন করণীয়

থ্রিডি প্রিন্টে ফেসবুকের লোগো। ছবি : রয়টার্স
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক বড় ধরনের হ্যাকিংয়ের শিকার হয়েছে। এর পাঁচ কোটি ইউজারের (ব্যবহারকারী) অ্যাকাউন্টের তথ্য বেহাত করে নিয়েছে দুর্বৃত্ত হ্যাকাররা। এমন পরিস্থিতিতে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ ব্যবহারকারীদের সতর্ক করতে তিনটি করণীয় বাতলে দিয়েছে।
শুক্রবার ফেসবুক জানিয়েছে, আক্রান্ত পাঁচ কোটি অ্যাকাউন্টের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে এবং বাড়তি আরো চার কোটি অ্যাকাউন্টে সতর্কতাস্বরূপ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কেউ যদি তাঁর অ্যাকাউন্টের নিরাপত্তা নিয়ে আশঙ্কায় থাকে তবে তাদের জন্য তিনটি পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ।
লগইন ডিভাইস চেক করুন
কেউ আপনার অ্যাকাউন্টে অনুপ্রবেশ করেছে কি না তা বোঝার সবচেয়ে মোক্ষম উপায় হচ্ছে লগইন ডিভাইসগুলো দেখা। কোন কোন পিসি, ট্যাব অথবা মোবাইল থেকে আপনি লগইন করেছেন তা এখানে গেলে দেখতে পাবেন, অপরিচিত কোনো ডিভাইস দেখলে রিমুভ বাটনে ক্লিক করে দিতে হবে।
আপনার অ্যাকাউন্টের সেটিংস অপশনে গিয়ে ‘সিকিউরিটি অ্যান্ড লগইন’ পাতায় ক্লিক করলে যেসব ডিভাইস থেকে আপনি ফেসবুকে প্রবেশ করেছিলেন সেগুলোর তালিকা আসবে। দিন-তারিখসহ অনেক ক্ষেত্রে লোকেশনও দেখাবে। সেখানে যদি কোনো অপরিচিত ডিভাইস দেখতে পান যেটি দিয়ে আপনি ফেসবুকে প্রবেশ করেননি সেটি ‘রিমুভ’‌ বা লগআউট‌ করে দিন।
পাসওয়ার্ড বদলে নিতে পারেন
ফেসবুক বলছে, তারা আক্রান্ত অ্যাকাউন্টগুলোকে ঝুঁকিমুক্ত করতে সক্ষম হয়েছে। অতএব কারো পাসওয়ার্ড পরিবর্তনের বাধ্যবাধকতা নেই। তবে কেউ যদি দুর্বল পাসওয়ার্ড দিয়ে রাখেন অথবা দেখে থাকেন অপরিচিত কোনো ডিভাইস থেকে কেউ আপনার অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করে তাহলে বদলে নিতে পারেন পাসওয়ার্ডটি। একটু জটিল ধরনের পাসওয়ার্ড দিয়ে দিন। দিতে পারেন প্রিয় কোনো বাক্যের সংক্ষিপ্ত রূপ। তবে পাসওয়ার্ড জটিল করতে সংখ্যা এবং ছোট হাতের বড় হাতের হরফ মিলিয়ে পাসওয়ার্ডটি দিতে পারেন।
লাস্টপাসের মতো পাসওয়ার্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাপ ব্যবহার করতে পারেন। তাতে জটিল ভিন্ন ভিন্ন জটিল পাসওয়ার্ড হলে তা মনে রাখতে সমস্যা হয়, এজন্য অ্যাপ ব্যবহার ভালো উপায় হতে পারে।
‘টু ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন‌’ চালু করে রাখুন
অন্যান্য অনেক সাইটের মতো ফেসবুকেরও রয়েছে দুই স্তরের তথ্য যাচাইয়ের পর প্রবেশের পদ্ধতি। এতে শুধু পাসওয়ার্ডে কাজ হবে না, পাসওয়ার্ড দেওয়ার পর আপনার মোবাইল ফোনে একটি বার্তায় ফেসবুক সঙ্গে সঙ্গে একটি কোড পাঠাবে, ওই কোডটি দিতে পারলেই আপনি ফেসবুকে প্রবেশ করতে পারবেন। আপনার ফোন যেহেতু আপনার কাছে, অন্য কারো ক্ষেত্রে আপনার অ্যাকাউন্টে প্রবেশর সুযোগ থাকছে না।

Wednesday, August 29, 2018

ক্যারিয়ার শিক্ষা।






ডঃ এম. আতাউর রহমান, চেয়ারম্যান
ম্যানেজমেন্ট বিভাগ
ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়


ক্যারিয়ার শিক্ষা প্রতিটি মানুষের জন্য অত্যাবশ্যক। ক্যারিয়ার মানুষকে প্রতিষ্ঠিত করে, তাকে তার কর্মক্ষেত্রে অবদান রাখতে সাহায্য করে এবং

ভাইবা বোর্ডে ৪০ টি কমন প্রশ্ন।






চাকরি খুঁজছেন? সরকারি কিংবা বেসরকারি যেকোন প্রতিষ্ঠানে চাকরি পেতে হলে ইন্টারভিউ বোর্ডের মুখোমুখি আপনাকে হতেই হবে

Monday, August 27, 2018

প্রাইমারি পরিক্ষা সাজেশন ২০১৮



বাংলা
১. ‘সংবাদ প্রভাকর’ পত্রিকার প্রতিষ্ঠাত সম্পাদক কে ছিলেন?
ক) ঈশ্বর চন্দ্র গুপ্ত *
খ) ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসাগর
গ) সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত
ঘ) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

Sunday, August 26, 2018

একটি সফলতার গল্প।

প্রতিদিন আমাদের সাইটে কয়েক কোটি ক্রেতা প্রবেশ করেন। আমরা চীনে প্রায় ১৪ মিলিয়ন নতুন চাকরি তৈরি করেছি। আমাদের শুরুটা ছিল মাত্র ১৮ জন মানুষ দিয়ে। এখন আমরা ৩০ হাজার মানুষ কাজ করি। ছোট একটি রুম থেকে শুরু করে আমাদের এখন কয়েক গুণ বড় অফিস হয়েছে। ১৫ বছর আগে আমরা কিছুই ছিলাম না। ১৫ বছর আগের কথা ভাবলে আমরা এখন বেশ বড় কোম্পানি, কিন্তু আগামী ১৫ বছর পরের কথা চিন্তা করলে আমরা এখনো শিশু, ছোট বাচ্চা। আমার বিশ্বাস, ১৫ বছর পর মানুষ ই-কমার্সের কথা ভুলে যাবে। তাদের কাছে ই-কমার্সের অস্তিত্ব বিদ্যুতের মতো স্বাভাবিক মনে হবে।

আমাদের কোম্পানি আলিবাবার আইপিওর মূল্যের পরিমাণ বেশ ছোটই, মাত্র ২৫ বিলিয়ন। আমরা সারা পৃথিবীর অন্যতম বড় মার্কেট ক্যাপিটাল কোম্পানি এখন। আমার দল আর আমাকে আমি মাঝেমধ্যেই বলি, এটা কি সত্য কিছু? আমরা ততটা বড় নই, যতটা দেখায়। বছর খানেক আগেও মানুষ বলত, আলিবাবার ব্যবসার মডেল ভয়ংকর। আমাদের চেয়ে অ্যামাজন ভালো, গুগল অসাধারণ বলে সবাই ভাবত। আসলে তখন আলিবাবার মতো ব্যবসার মডেল যুক্তরাষ্ট্রে ছিল না বলেই আমাদের নিয়ে সবাই এমনটা বলত। আমি নিজেকে ও অন্যদের বলতাম, লোকজন যা ভাবে, আমরা তার চেয়ে ভালো। কিন্তু এখন সবাই বদলে গেছে, আমাদের অনেক বড় বলে ভাবে সবাই। আমি সবাইকে বলতে চাই, আমরা বড় কেউ নই। আমরা ১৫ বছরে পা রাখা একটি কোম্পানি মাত্র। এই কোম্পানির জন্য ২৭ বা ২৮ বছরের কিছু তরুণ এমন কিছু কাজ করছেন, যা কিনা মানুষ এর আগে কখনো চেষ্টা করেনি।
১৯৬৪ সালে আমার জন্ম। চীনে তখন সবে সাংস্কৃতিক আন্দোলন শেষ হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য যে পরীক্ষা দিতে হয়, আমি সেখানে তিনবার ফেল করেছিলাম। আমি আরও অনেকবারই ফেল করেছি। প্রাইমারি স্কুলে পরীক্ষার সময় দুবার ফেল করেছিলাম। মাধ্যমিক স্কুলেও তিনবার ফেল করেছি। আমার শহর হাংজুতে মাত্র একটি মাধ্যমিক স্কুল ছিল। বেশ খারাপ ছাত্র ছিলাম দেখে আমাদের প্রাথমিক স্কুল থেকে পড়া কাউকে মাধ্যমিক স্কুলে ভর্তি করতে চাইত না কেউ। বারবার ভর্তিতে প্রত্যাখ্যাত হয়ে বেশ উপকারই হয়েছিল আমার!
এখনো আমাকে মানুষ প্রত্যাখ্যান করে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আগে আমি চাকরির জন্য চেষ্টা করেছিলাম। সেখানেও আমাকে ৩০ বারের মতো প্রত্যাখ্যাত হতে হয়। যখন চীনে কেএফসি আসে, তখন ২৪ জন লোক চাকরির জন্য আবেদন করেন। সেখানে ২৩ জন মানুষ চাকরির সুযোগ পান। শুধু একজনই বাদ পড়েন, সেই মানুষটি আমি। এমনও দেখা গেছে, পাঁচজন মানুষের মধ্যে চারজনের চাকরি হয়েছে, আর বাকি একজন আমি নেই। প্রত্যাখ্যানের পর প্রত্যাখ্যানই দেখেছি আমি। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্যও আবেদন করেছিলাম, সেখানে আমাকে প্রত্যাখ্যান করা হয়। ১০ বার লিখেছিলাম, ‘আমি ভর্তি হতে চাই।’ ১০ বার আবেদন করেছি, আর প্রতিবারেই প্রত্যাখ্যাত হয়েছি।
আমি ১২–১৩ বয়স থেকে ইংরেজি শেখা শুরু করি। চীনে তখন ইংরেজি শেখার সুযোগ ছিল না। কোনো ইংরেজি বইও পাওয়া যেত না। আমি যে হোটেলে বিদেশি পর্যটক আসত, সেখানে গিয়ে বিনে পয়সায় পর্যটকদের গাইডের কাজ করতাম। এরপর নয় বছর এই কাজ করে গেছি। তাতেই আমি পশ্চিমা ঢঙে ইংরেজি বলা শিখেছি। বিদেশি পর্যটকদের সঙ্গে ঘোরাফেরা আমার মনকে অনেক বড় করে দিয়েছে। স্কুল আর মা-বাবার কাছ থেকে যা শিখতাম, আর পর্যটকদের কাছ থেকে যা জানতাম, তা ছিল ভিন্ন। সে জন্যই আমি নিজের জন্য ভিন্ন এক অভ্যাস গড়ে তুলি নিজের মধ্যে। আমি যা দেখি, যা পড়ি, তা মন দিয়ে পড়ি-চিন্তা করি।
১৯৯৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রে আসার পরে সিয়াটলে আমি প্রথম ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ পাই। ইন্টারনেটের গতি ছিল তখন ভীষণ ধীর। আমার বন্ধু আমাকে কম্পিউটারে ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ দেয়। ভয়ে কম্পিউটার স্পর্শ করিনি সেদিন। চীনে কম্পিউটারের দাম ছিল অনেক, নষ্ট হয়ে গেলে তখন দাম দিতে পারতাম না। বন্ধুর উৎসাহে ইন্টারনেটে সার্চ করি। সেবারই প্রথম ই-মেইল শব্দটি শুনি।
আমি ইন্টারনেটভিত্তিক কিছু করার চেষ্টা শুরু করি। সেই সময়টায় বেশ জনপ্রিয় একটি নাম ছিল ইয়াহু। আমাদের কোম্পানির নাম আলিবাবা দিতে চেয়েছিলাম। ১০ থেকে ২০ জনের বেশি মানুষকে জিজ্ঞেস করি, আলিবাবাকে তারা চিনে নাকি? সবাই বলেছিল ‘হ্যাঁ’। ‘আলিবাবা ও ৪০ চোর’ গল্পের কারণে সবাই আলিবাবাকে চিনে। তাই আমি এই নামই গ্রহণ করি।
শুরু থেকেই আমরা অনলাইনে বিশ্বাসের একটি জায়গা তৈরির চেষ্টা করে যাচ্ছি। মানুষ একে অন্যকে কম বিশ্বাস করে। এমন একটা পরিস্থিতিতে আমরা প্রতিদিন ৬০ মিলিয়ন বার লেনদেন করি। অনলাইনে মানুষ একজন আরেকজনকে চেনে না। আমি আপনাকে চিনি না, কিন্তু আমি আপনাকে পণ্য পাঠাই। আপনি আমাকে চিনেন না, কিন্তু আপনি আমাকে টাকা ঠিকই পাঠান। বিশ্বাসের জায়গাটা বড় করার চেষ্টা করে যাচ্ছি।
আলিবাবার সাফল্যের অন্যতম লুকানো সূত্র হচ্ছে আমাদের এখানে অনেক নারী কাজ করেন। শুধু আলিবাবায় ৪৭ শতাংশ কর্মী হচ্ছেন নারী। আমাদের সব অফিস মিলিয়ে ৫৩ শতাংশ কর্মী নারী। আমাদের ম্যানেজমেন্টে ৩৩ শতাংশ হচ্ছেন নারী, আ

Saturday, August 25, 2018

ক্যারিয়ার কি?

জীবন বাঁচানোর জন্য জীবিকা হিসাবে মানুষ কোন না কোন কাজ করে থাকে। এই কাজ করার মাধ্যমেই মানুষ কোন একটি বিষয়ে নিজেকে দক্ষ করে জীবিকার পথ হিসেবে তা বেছে নেয়। জীবিকার পথ হিসেবে মানুষ যে পন্থাকে বেছে নেয় তাই মূলত তার ক্যারিয়ার যেমন একজন ডাক্তার তার জীবিকা হিসেবে ডাক্তারি করে থাকেন। এখানে ডাক্তারি করাটাকে তিনি ক্যারিয়ার হিসেবে নিয়েছেন। আর এজন্য তিনি কোন হাসপাতালে কাজ করেন। সুতরাং আরেকটি বিষয় এখানে চলে আসে যে, কাজ করা আর ক্যারিয়ার এ দুটি বিষয় পরষ্পর সম্পর্ক যুক্ত হলেও একই বিষয় নয়। মূলত মানুষ তার ক্যারিয়ার ঠিক করতে বা লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের কাজ করে থাকে।

আরও একটি উদাহরণ দিয়ে বলা যায়- একজন ছাত্র কোন একটি সাধারন বিষয়ে গ্রাজুয়েশন বা স্নাতক করার পর হয়ত কোন প্রতিষ্ঠানে মার্কেটিং বিভাগে চাকরি নিলেন। কিন্ত এ সময়ে তার ক্যারিয়ার কে মার্কেটিং বলাটা ঠিক হবে না। কারণ এক বছর পর তিনি হয়তো অন্য একটি কোম্পানীতে সেলস বা বিক্রয় বিভাগে অথবা হিসাবরক্ষণ বিভাগে চাকরি নিলেন। এভাবে কয়েক বছর কাজ করার পর তিনি সিদ্ধান্ত নিতে পারেন যে তিনি কোন বিভাগে নিজেকে দক্ষ করবেন এবং পরবর্তীকালে সে বিষয়েই নিজের ক্যারিয়ার তৈরী করবেন বা সে বিষয়েই উচ্চপদ গ্রহণ করবেন। এ সময়ে তিনি তার ক্যারিয়ারের একটি প্রথম এবং প্রধান ধাপ অতিক্রম করবেন। সুতরাং আমরা বলতে পারি যে, ক্যারিয়ারের জন্য আমাদেরকে বিভিন্ন পর্যায়ে কাজ করতে হয়। এ অবস্থায় পরবর্তীকালে আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে, কোন পন্থা বা বিষয়কে ক্যারিয়ার হিসেবে বেছে নেয়া যেতে পারে।

এ সিদ্ধান্ত নেয়ার অন্যতম উপায় হচ্ছে ক্যারিয়ার পরিকল্পনা। একজন ব্যক্তি যত শুরু থেকে তার ক্যারিয়ার পরিকল্পনা করতে পারবেন তিনি তত তাড়াতাড়ি সেই লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবেন। ক্যারিয়ার পরিকল্পনার জন্য যে বিষয়টি দরকার তা হলো, সাফল্য সম্পর্কে ধারণা থাকা।

Saturday, July 21, 2018

সাম্প্রতিক: ২০১৭ সালে ঘটে যাওয়া গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা থেকে ৩০টি প্রশ্ন ও উত্তর




# প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে কতটি চুক্তি ও সমঝোতা স্বারক স্বাক্ষরিত হয়?

উত্তরঃ চুক্তি ১১ টি ও সমঝোতা ২৪ টি