Search This Blog

Wednesday, August 29, 2018

ক্যারিয়ার শিক্ষা।






ডঃ এম. আতাউর রহমান, চেয়ারম্যান
ম্যানেজমেন্ট বিভাগ
ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়


ক্যারিয়ার শিক্ষা প্রতিটি মানুষের জন্য অত্যাবশ্যক। ক্যারিয়ার মানুষকে প্রতিষ্ঠিত করে, তাকে তার কর্মক্ষেত্রে অবদান রাখতে সাহায্য করে এবং
তার দক্ষতা, নৈপুন্যতা এবং অঙ্গীকারের সর্বোচ্চ ব্যবহারের উদ্বুদ্ধ করে। ক্যারিয়ারের মাধ্যমেই একজন মানুষ তার গণ্ডির ভেতরেতো বটেই এমনকি গণ্ডির বাইরেও সমীহ লাভ করতে পারে। ক্যারিয়ার শিক্ষা না থাকায় আমাদের শিক্ষার্থীরা পরবর্তি জীবনে ক্যারিয়ার হিসেবে তার জন্য কোন পেশা বেছে নেয়া উচিত অনেক সময় জানে না। আগে থেকে প্রাথমিক ধারণা না থাকার জন্য অনেকেই তাদের কর্মদক্ষতা কোথায় তা বুঝে উঠতে পারে না। দেখা যায়, বিজ্ঞান শাখার ছাত্ররা শেষে গিয়ে ব্যাংক বা অন্য কোন ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে গিয়ে ক্যারিয়ার গঠন করার চেষ্টা করে। তখন মাঝে মাঝে দেখা যায় যে, সে না তার কাজে উত্সাহ পায়, না,  পারে ব্যাক্তিগত জীবনে সমৃদ্ধি লাভ করতে। ক্যারিয়ার গঠনের কতকগুলো ধাপ আছে। এসব ধাপ অতিক্রম করেই একজন ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ স্তরে উপনীত হতে সক্ষম হয়। একটি গ্রহনযোগ্য ক্যারিয়ার গঠন করতে হলে ব্যাক্তিকে প্রথমেই দু’টি বিষয় বিবেচনা করতে হয়- সর্বাগ্রে তাকে সিদ্ধান্ত নিতে হয় যে সে তার ক্যারিয়ার গঠন করতে রাজি আছে কিনা। এরপর তাকে বিবেচনা করতে হয় যে তার মধ্যে যে যোগ্যতা,দক্ষতা,নৈপুনতা এবং প্রতিশ্রুতিশীলতা রয়েছে তা দিয়ে উক্ত লক্ষ্যে উপনীত হওয়া সম্ভব কিনা। এছাড়া ক্যারিয়ার গঠনে পরিবেশ একটা বড় ভূমিকা পালন করে।
পরিবেশ অনুকূল হলে ক্যারিয়ার গঠন অপেক্ষাকৃত সহজ হয়। অন্যথায় উপযুক্ত দক্ষতা ও যোগ্যতা থাকার পরেও ক্যারিয়ার নিয়ে সম্মূখপানে অগ্রসর হওয়া যায় না। পরিবেশ অনুকূল হলে এবং প্রাতিষ্ঠানিক সহায়তা পেলে ক্যারিয়ার গঠন করা অপেক্ষাকৃত সহজ হয়ে ওঠে। আমাদের অর্জিত জ্ঞান আর এর প্রায়োগিক ব্যবহার সম্পর্কে ছাত্র-ছাত্রীরা অনেকে সময় অজ্ঞ থাকে। আজকের এই শিক্ষা কিভাবে ভবিষ্যতে তাদের ক্যারিয়ার গঠনে সহায়তা করতে পারে তা অনেকেই বুঝে উঠতে পারে না। এদিকে প্রতিনিয়ত বদলে যাচ্ছে কাজের ধরণ পাশাপাশি বদলে যাচ্ছে কাজের প্রতি মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি।
এ সমস্ত বিষয় বিবেচনায় রেখেই জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড নবম ও দশম শ্রেণিতে ‘ক্যারিয়ার শিক্ষা’ বইটিকে পাঠ্যপুস্তক রুপে নির্ধারণ করেছে। এ পুস্তকে মোট ৪(চারটি) টি অধ্যায় সংযোজিত হয়েছে। শিক্ষার্থীগণ এ অধ্যায়সমূহ সুষ্ঠুভাবে অনুধাবন করতে সক্ষম হলে তাদের ক্যারিয়ার নির্ধারণে একটা উল্লেখযোগ্য অবদান রাখবে বলে আমার বিশ্বাস। শিক্ষার্থীগন যে যে ক্ষেত্রেই তাদের ক্যারিয়ার নির্ধারণ করতে চায় সাধারণভাবে এ বিষয়গুলো তাদের গুরুত্বপূর্ণ দিক নির্দেশনা দিবে।

No comments:

Post a Comment